গলায় ,বাহুতে তাবিজ বাঁধা কি শিরক? জেনে নিন সঠিক তথ্য।live streaming news online
গলায় ,বাহুতে তাবিজ বাঁধা কি শিরক? জেনে নিন সঠিক তথ্য।
কেহ যদি বৈধ কালি দিয়ে কুরআন , আল্লাহর নাম ইত্যাদি দ্বারা তাবিজ লিখে এবং তাকে স্বয়ক্রিয় মনে না করে .বরং আল্লাহর উপর আস্থা রেখে এটাকে শুধু একটা মাধ্যম স্বরুপ ব্যাবহার করে তবে তা শরীয়তে নিষিদ্ধ নয়।এসকল উদ্ধৃতি আমাদের সময়ের ওইসব লোকের বিরুদ্ধে প্রমাণ; যারা তাবিজ লিখা, তাবিজ ভেজানো পানি পান করা কিংবা তাবিজ লটকানো শরয়ি দৃষ্টিকোণ থেকে নিষিদ্ধ বলে দাবি করেন। তাদের কেউ কেউ বাড়াবাড়ি করতে করতে এই দাবিও করেন যে, এটা শিরক! এ ক্ষেত্রে তারা ইবনে মাসউদ রাযি.’র স্ত্রী জয়নবের সূত্রে বর্ণিত সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি.'র এ হাদিসটি দলিল হিসেবে পেশ করে থাকেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ঝাড়ফুঁক, তাবিজাত এবং ডোরা সুতা বাঁধা শিরক। (সুনানে আবু দাউদ: ৩৮৮৩) কিন্তু দলিল হিসেবে পেশকৃত এ হাদিসেরই শেষাংশ তাদের খণ্ডন করছে। "জয়নব বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি এমনটা কেন বলছেন? আল্লাহর শপথ! একসময় আমার চোখ সমস্যা হতো, আমি অমুক ইহুদির নিকট যেতাম; সে আমাকে ঝাড়ফুঁক করে দিত। তার ঝাড়ফুঁকের পর চোখ ঠিক হয়ে যেত। প্রতিউত্তরে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ বললেন, এটা মূলত শয়তানের কর্ম, যা সে ওর হাত দিয়ে করাত। তোমার জন্য এভাবে বলাই যথেষ্ট, যেভাবে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন, 'আজহিবিল বা'স, রাব্বান নাস' প্রভৃতি। "
গলায় ,বাহুতে তাবিজ বাঁধা কি শিরক?-livenewsbanglades |
কেহ যদি বৈধ কালি দিয়ে কুরআন , আল্লাহর নাম ইত্যাদি দ্বারা তাবিজ লিখে এবং তাকে স্বয়ক্রিয় মনে না করে .বরং আল্লাহর উপর আস্থা রেখে এটাকে শুধু একটা মাধ্যম স্বরুপ ব্যাবহার করে তবে তা শরীয়তে নিষিদ্ধ নয়।এসকল উদ্ধৃতি আমাদের সময়ের ওইসব লোকের বিরুদ্ধে প্রমাণ; যারা তাবিজ লিখা, তাবিজ ভেজানো পানি পান করা কিংবা তাবিজ লটকানো শরয়ি দৃষ্টিকোণ থেকে নিষিদ্ধ বলে দাবি করেন। তাদের কেউ কেউ বাড়াবাড়ি করতে করতে এই দাবিও করেন যে, এটা শিরক! এ ক্ষেত্রে তারা ইবনে মাসউদ রাযি.’র স্ত্রী জয়নবের সূত্রে বর্ণিত সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি.'র এ হাদিসটি দলিল হিসেবে পেশ করে থাকেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ঝাড়ফুঁক, তাবিজাত এবং ডোরা সুতা বাঁধা শিরক। (সুনানে আবু দাউদ: ৩৮৮৩) কিন্তু দলিল হিসেবে পেশকৃত এ হাদিসেরই শেষাংশ তাদের খণ্ডন করছে। "জয়নব বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি এমনটা কেন বলছেন? আল্লাহর শপথ! একসময় আমার চোখ সমস্যা হতো, আমি অমুক ইহুদির নিকট যেতাম; সে আমাকে ঝাড়ফুঁক করে দিত। তার ঝাড়ফুঁকের পর চোখ ঠিক হয়ে যেত। প্রতিউত্তরে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ বললেন, এটা মূলত শয়তানের কর্ম, যা সে ওর হাত দিয়ে করাত। তোমার জন্য এভাবে বলাই যথেষ্ট, যেভাবে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন, 'আজহিবিল বা'স, রাব্বান নাস' প্রভৃতি। "
এ বর্ণনা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, হাদিসে নিষিদ্ধ ঝাড়ফুঁক বলে মুশরিকদের ঝাড়ফুঁকই বোঝানো হয়েছে; যেখানে তারা শয়তান ইত্যাদির আশ্রয় গ্রহণ করত। সুতরাং যে ঝাড়ফুঁক এসব থেকে মুক্ত তা বৈধ হতে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। স্বয়ং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে প্রচুর হাদিসের দ্বারা প্রমাণিত। একই অবস্থা তাবিজাতেরও। মুহাদ্দিস আল্লামা শাওকানি রাহ. (মৃ. ১২৫৫ হি.) লিখেছেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ তিনটি বস্তকে এজন্যেই শিরক বলেছিলেন যে, মানুষ এগুলোকে রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় মনে করতো। ” (নায়লুল আওতার, ৯/১০৪)
সূত্র:কালের কন্ঠ।
লেখক : লন্ডন প্রবাসী তরুণ আলেম
No comments
Post a Comment